তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত ঘেরাও ও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ বামেদের

11th January 2021 11:12 pm বর্ধমান
তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত ঘেরাও ও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ বামেদের


প্রদীপ চট্টোপাধ‍্যায় ( বর্ধমান ) :  নেই একশো দিনের কাজ ।বন্ধ করেদেওয়া হয়েছে সজলধারা প্রকল্পে পানীয় জল পরিষেবা । এমনই অভিযোগ এনে সোমবার তৃণমূল পরিচালিত বর্ধমান ২ ব্লকের নবস্থা ১ পঞ্চায়েত অফিস ঘোরাও করে বিক্ষোভ দেখালো সিপিআইএম কর্মী ও সমর্থকরা । তারা প্রায় দেড় ঘন্টা কালনা-বর্ধমান সড়ক পথও অবরোধ করে রাখেন ।পরে পঞ্চায়েত প্রধান সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ অবরোধ তুলেনেন আন্দোলনকারীরা।  নবস্থা ১ পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ ডেপুটেশনে এদিন নেতৃত্বদেন বর্ধমান ২ ব্লকের সিপিআইএম এরিয়া কমিটির সদস্যরা । বিক্ষোভ ডেপুটেশনে  নবস্থা ১ পঞ্চায়েতের আউশা গ্রামের প্রায় চার শতাধীক জবকার্ড শ্রমিক ও সাধারণ মানুষজনও অংশ নিয়েছিলেন। এলাকার সিপিআইএম নেতা কল্যান হাজরা , রকি আলম প্রমুখরা বলেন ,
উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বছরের পর বছর ধরে আউশা গ্রামের চার শতাধীক জবকার্ড শ্রমিকে ১০০ দিনের কাজ থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে  । ৪-ক ফর্ম ফিলাপ করে কাজের জন্য আবেদন করলেও কাজ মিলছে না । শুধু তাই নয়, আউশা গ্রামে সজলধারা প্রকল্পে পানীয় জল পরিষেবা পাওয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । বিক্ষোভ ডেপুটেশনে আংশ নেওয়া অপর সিপিআইএম নেতা উত্তম কোনার বলেন,২০০৮ সালে আউশা গ্রামে সজলধারা প্রকল্পে পানীয় জল পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। চার বছর হয়েগেল সজলধারা প্রকল্পে সেই পানীয় জল পরিষেবা বন্ধ করেদেওয়া হয়েছে । তার কারণে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন আউশা গ্রামের বাসিন্দারা । এছাড়াও সরকারী আবাস যোজনার ঘর বিলিতেও পঞ্চায়েত কোন নিয়ম নীতি মানছে না বলে  সিপিআইএম নেতৃত্বের অভিযোগ। অবিলম্বে এইসব দাবি পূরণের জন্য  সিপিআইএম নেতৃত্ব পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন জমা দেন ।  সিপিআইএম নেতা কল্যান হাজরা বলেন , পঞ্চায়েত প্রধান সারদা হাজরা আশ্বাস দিয়েছেন জবকার্ড শ্রমিকরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে যাতে ১০০ দিনের কাজ পায় সেই বিষয়টি তিনি দেখবেন । সজলধারা প্রকল্পে পানীয় জল পরিষেবা ফের চালুর ব্যাপারে প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও প্রধান আশ্বস্ত করেছেন  । সিপিআইএম নেতা কল্যান হাজরা বলেন ,
পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ কথা মতো কাজ না করলে এরপর তারা বৃহত্তর আন্দোলন  শুরু করবেন । 


 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।